গাজীপুর জেলা পরিষদের ইতিহাস
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হলো জেলা পরিষদ। জনগণের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা, সামাজিক অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়নে জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
গাজীপুর জেলা পরিষদের জন্ম
১৯৮৪ সালের ১ মার্চ প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে গাজীপুরকে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে গাজীপুর ছিল বৃহত্তর ঢাকা জেলার একটি মহকুমা। জেলা প্রতিষ্ঠার পর স্থানীয় সরকার কাঠামোর অংশ হিসেবে গড়ে ওঠে গাজীপুর জেলা পরিষদ। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং গ্রামীণ অবকাঠামো ও জনসেবামূলক খাতকে শক্তিশালী করা।
দায়িত্ব ও কার্যক্রম
গাজীপুর জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা ও জনস্বাস্থ্যসহ নানা খাতে কাজ করে আসছে।
প্রধান দায়িত্বসমূহ হলো –
-
গ্রামীণ সড়ক, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন
-
স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমে সহায়তা
-
কৃষি ও মৎস্য খাতে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন
-
অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম
গণতান্ত্রিক ধারা
বাংলাদেশে জেলা পরিষদ আইনের মাধ্যমে প্রতিটি জেলার জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ তৈরি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর জেলা পরিষদেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে জনগণের প্রত্যাশা ও দাবি সরাসরি পরিষদের কার্যক্রমে প্রতিফলিত হয়।
বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে গাজীপুর জেলা পরিষদ জেলা জুড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সহায়তা, সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
উপসংহার
গাজীপুর জেলা পরিষদের ইতিহাস মূলত এ জেলার মানুষের উন্নয়ন অভিযাত্রার ইতিহাস। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার এই প্রতিষ্ঠান জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিবেদিত হয়ে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও গাজীপুরকে একটি সমৃদ্ধ ও আধুনিক জেলায় রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
